অনিবন্ধিত সুদ কারবারিদের তালিকা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২১, 2:30 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২১, 2:30 PM

অনিবন্ধিত সুদ কারবারিদের তালিকা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ কমিটি
সারা দেশের অনিবন্ধিত সুদ কারবারিদের তালিকা করতে একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অননুমোদিত ও অনিবন্ধিত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করতে এই কমিটি করা হয়েছে। ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের এই কমিটি গঠনের কথা হাইকোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটি গঠন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে এসেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম,
ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১-এর মহাব্যবস্থাপক জীবন কৃষ্ণ রায়, ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. জুলকার নায়েন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগম এবং ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুনীর আহমেদ চৌধুরীকে বিশেষ এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশের অনুমোদনহীন সুদ কারবারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে অনুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেন আদালত। তদন্তকালীন সময়ে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক সেগুলো বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ ছাড়া চড়া সুদে ঋণদানকারী স্থানীয় মহাজনদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক রিট করেন। রিটে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া চড়া সুদে অনানুষ্ঠানিকভাবে মহাজনদের ঋণ দেওয়া রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব–বহির্ভূত ঘোষণা এবং সারাদেশে চড়া সুদে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়। আবেদনে অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১৩৬ ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।